কচু শাক প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন (A) দিয়ে সমৃদ্ধ। আমাদের বাংলাদেশে কচুর শাকে অনেক জনপ্রিয় সবজি। গ্রাম এলাকার বয়স্ক মানুষেরা বলে কচু শাক খেলে দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ হয়।
কচু আমাদের সকলের কাছে অনেক পরিচিত একটি সবজি। কচু শাক প্রত্যেক এলাকাতে জন্মাতে দেখা যায়।
ভূমিকা
কচু শাগে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম, তাই এর জন্য হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুকি কমায়। ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের অভাবের জন্য ডাক্তার কচু শাক খাওয়ার পরামর্শ দেয়। কচুর শাখে ভিটামিন এ এর পাশাপাশি এর ভিতরে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি ও থাকে।
কচু শাক খেলে কি প্রেসার বাড়ে?
কচুর সাথে এমন কোন উপাদান নেই যে এর ফলে কোন মানুষের প্রস্রাব বেড়ে যাবে।এর ভিতরে আছে পটাশিয়াম ভিটামিন এ ভিটামিন বি ইত্যাদি।তবে ডাক্তারেরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের কচু শাক খেতে পরামর্শ দেয়।
কচু খেলে কি ওজন বেড়ে যায়?
মাটির তলে জন্মানো প্রায় সকল জিনিস খেলে ওজন বাড়ে।যেমন গাজর,শালগম,ওল, মান-কচু,মুলা,কচু ইত্যাদি এগুলোতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি। এর জন্য এগুলো খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকে থাকে।
কচু শাক খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়?
কচুশাকের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা আছে এর মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ হলো।কচু শাকে ভিটামিন এতে পরিপূর্ণ থাকে এর জন্য রাতকানা রোগ প্রতিরোধ হয়। এছাড়া কচুর সাথে থাকে পুঁইশাকের চেয়েও বেশি খাদ্য শক্ত,চর্বি,সরক,খনিজ পদার্থ,ক্যালসিয়াম ইত্যাদি।
কচু শাক কত ক্যালরি?
কচু শাক খেলে বিভিন্ন ধরনের বড় রোগ থেকে বাঁচা যায় যেমন রাতকানা। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে যে কচুশাকের ভেতরে কি কি উপাদান বা কি কি ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম কচুশাকে ৪০ গ্রাম প্রোটিন,১৫ গ্রাম চর্বি, ৬.৮গ্রাম শর্করা,২২৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে এবং ১০ মিলিগ্রাম আইরন ও ৫৬ মিলিগ্রাম খাদ্য শক্তি থাকে।
কচু শাক খেলে কি এলার্জি হয় কি?
আপনাদের অনেকজনেরই মনে একটা প্রশ্ন আছে যে কচু শাক খেলে কি এলার্জি হয়? তো আজকের এই পোস্টটিতে আমরা আপনাদেরকে জানাবো। যে কচুর শাক খেলে এলার্জি হয় কি হয় না।
এলার্জি বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন জিনিসের হয়ে থাকতে পারেকারো এলার্জির গরুর মাংসে হয় আবার কারো এলার্জি বেগুনে হয়। এক এক মানুষের একেকটি খাবার খেলে এলার্জি হয় এখন আপনার কচু শাক খেলে কি এলার্জি হতেও পারে নাও হতে পারে। এখন আপনি জানবেন কিভাবে যে আপনার কচুশাকে এলার্জি আছে কি নাই?
এর জন্য সবথেকে ভালো উপায় হল আপনাকে কচু শাক খেয়ে দেখতে হবে যে আপনার এলার্জি হচ্ছে কি হচ্ছে না। যদি না হয় তাহলে আপনার এলার্জি নেই কচুশাকে আর যদি এলার্জি হয় তাহলে জানবেন আপনার কচু শাক অ্যালার্জি আছে।
কচু খাওয়ার অপকারিতা কি?
কচুতে অক্সলেট আছে রান্না করার পরেও অনেক সময় গলা হালকা কুটকুট করে বা চুলকায়। এজন্য কচুর যেকোনো ধরনের তরকারি খাওয়ার আগে খানিকটা লেবুর রস মিশালে চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কচু খেলে অনেক মানুষের হজমে সমস্যা বা এলার্জি হয়ে থাকে এজন্য যাদের এই ধরনের সমস্যা আছে তাদেরকে কচু খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া যাদের হৃদপিন্ডের সমস্যা উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের সমস্যা ভুগছেন কচুর লতি খাওয়ার সময় চিংড়ি মাছ ওষুধ খেয়ে বর্জন করুন।
গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা কি ?
বাচ্চা পেটে থাকা সময় ও প্রসবের পর কচুর শাক বা কচু খেলে বিভিন্ন ধরনের উপকার পাওয়া যায় কিছু উপকার নিচে লেখা হলো। একটি শিশুর জন্ম নেওয়ার পর থেকে ছয় মাস পর্যন্ত শিশুর প্রধান খাদ্য হচ্ছে মাতৃদুগ্ধ।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায় যে মাতৃ স্তনে শিশুর বেড়ে ওঠা বা খাবারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধের ঘাটতি দেখা যায়। এরকম ক্ষেত্রে ডাক্তারেরা তিন থেকে চার দিন টানা কচুর শাক খাওয়ার পরামর্শ দেন। তিন থেকে চার দিন টানা খাওয়ার ফলে মাতৃ স্তনে দুধের স্বল্পতা কমে যায়।
গর্ভাবস্থায় বা বাচ্চা হওয়ার পরে মাতৃ শরীরের প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও ভিটামিনের প্রয়োজন হয়। দরিদ্র পরিবারের মহিলাদের ভিটামিন এর ক্যাপসুল বা প্রোটিনযুক্ত ওষুধের পরিবর্তে কচু শাক খেতে পারে। গর্ব অবস্থায় কচুর শাক খেলে শিশুর শরীরের হাড় মজবুত হয়।
গাটি কচু খেলে কি হয়।
কচুর শাকের ভিতর প্রচুর পরিমাণে ফাইবার জাতীয় উপাদান থাকে এজন্য কচু শাক খেলে পেটের উপকার হয়। রক্তের ভিতর কোলেস্টেরল কমে যায়। এজন্য উচ্চ রক্তচাপের মানুষদের জন্য ওল কচুমান এর রস খুব উপকারী।
Post a Comment