সজনে পাতার ব্যবহার ও উপকারিতা জেনে নিন ?

সজনে পাতা খেলে কি উপকার?

সজনে গাছের অনেক ঔষধি গুন আছে এজন্য সজনে গাছকে ইংরেজিতে মিরাক্কেল ট্রি বলে আখ্যায়িত করেছে বিভিন্ন পুষ্টিবিদরা । পুষ্টিবিদদের মতে সজনে পাতার বা গাছ ব্যবহার এর ফলে কম পক্ষে প্রায় ৩০০ ধরনের রোগ থেকে বাঁচা যায় । 
এই গাছটির ফল-ফুল , চামড়া বা বাকোল ,মূল এবং গাছের আঠাটি ও সজনে পাতার ব্যবহার করা যায়। দৈনন্দিন জীবনে আমরা সজনে পাতার ব্যবহার বিভিন্নভাবে করে থাকি যেমন সবজি বা ওষুধ হিসাবে।

 সজনে পাতার ব্যবহার দেখানো হলো।

  • শরীরের কোন স্থানে ব্যথা বা ফুলে গেলে সেখানে সজনে গাছের শিকড়ের বেটে শিকড়টির প্রলেপ ব্যবহার করলে ব্যথা বা ফুলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 
  • কারো কানে যদি ব্যথা থাকে তাহলে কানে সজনে মূল বেটে রস দিলে সে ব্যথা সেরে যায়।
  • সজনে গাছের থেকে যে আঠা তৈরি হয় সে আঠা গরম দুধের সাথে খেলে মাথাব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায়।
  • সজনে ফল এর রস দুধের সাথে গ্রহণ করলে মূত্রের পাত্রী দূর হয় এবং সজনে গাছের ফুল রসে হাঁপানি রোগের জন্য বিশেষ উপকার পাই।
  • সজনে পাতার রস লবণ দিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ালে বাচ্চাদের পেটের গ্যাস দূর হয়।
  • সজনের ফল নিয়মিত রান্না করে খেলে গেটের ব্যথা বা দাঁত ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • সৌজন্যের ফুল খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি আরো  বৃদ্ধি পায়।

সজনে পাতার গুড়া কিভাবে খাব?

সজনে পাতা গুড়া যেভাবে আমরা খেতে পারব।চায়ের সাথে মিশিয়ে শরবত বানিয়ে বা স্মুদি হিসেবে , সালাদের ড্রেসিং হিসেবে আবার সুপের সাথে ভাতের সাথেও ইত্যাদি ভাবে সজনে পাতার গুড়া খাওয়া যায় ।

সজনে পাতার গুড়া খেলে কি ওজন কমে?

সজনে পাতাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন , খনিজ লবণও আন্টি অক্সিডেন্ট আছে পাতাতে যেমন রয়েছে ওজন কমানোর জন্য যেসব উপাদান প্রয়োজন সেগুলো এবং ফ্যাটের বদলে আসে প্রচুর এনার্জি।  লো ফ্যাট হওয়ার কারণে সজনে পাতা দিয়ে বারবার চা বানিয়ে খেলেও কোন সমস্যা হবে না বরং সজনে পাতার উপকারিতা পাওয়া যায়। 

কিডনি রোগীরা কি সজনে পাতা খেতে পারবে?

কিডনি রোগ এবং ডায়াবেটিসের বলতে গেলে এক ধরনের জম হচ্ছে সজনে পাতা । সজনে পাতার ভিতর অনেক ধরনের উপকারী গুনাগুন আছে এবং এর মধ্যে ফ্যাট খুব কম পরিমাণে থাকে এবং এর ভিতরে অনেক ভিটামিন থাকে এর ফলে কিডনি রোগীদের কোন ধরনের কোন সমস্যা হয় না।
রোগ হলে উল্টো সাজনা পাতা খেলে শরীরের শক্তি এবং ইউনিটি বাড়ে এবং রোগ থেকে বাঁচার জন্য শরীরে শক্তি পায় ।

গর্ভাবস্থায় সজনে পাতার খেলে কি হয় বা উপকারিতা কি  ?

শচীনের মেয়েদের লবণ ও শরীরের জন্য বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে। 
একজন হবু মা এবং তার গর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুর জন্য পুষ্টির অনেক সময় ঘাটতি হয়ে থাকে কিন্তু সজনের ভিতরে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান থাকার জন্য গ্রহণে বা খাওয়াতে বিভিন্ন ধরনের তারা সজনে পাতার উপকারিতা পেয়ে থাকে। 

সজনে পাতার গুড়া কখন খাওয়া উচিত?

সজনে পাতা হলে একটু পুষ্টিকর এবং প্রকৃতির জিনিস এই জিনিসটি কোন ক্ষতিকর গুণ এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেয়। এইজন্য সজনে পাতার গুড়ার খাওয়ার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই আমরা এই গুড়াটি বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে খেয়ে থাকতে পারবো যেমন সকাল বেলায় স্মুথিতর সাথে আমরা সজনে পাতার গুড়া দিয়ে খেতে পারি আবার শালা দেখতেই স্বাস্থ্যকর খাবার দের সাথেও আমরা এক বা দুই চামচ মিশিয়ে গ্রহণ করতে পারি ।

সজনে পাতা রস কিভাবে খেতে হয়?

সৌজন্যে পাতার রস বা জুস তৈরি করার জন্য প্রথমে আমাদের সজনে পাতাকে পানির সঙ্গে ব্লেন্ডারে দিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে বা পাটাতে বেটে নিতে হবে। এরপরে পরিষ্কার সুতির কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে এবার সজনের পাতার রস গুলো গ্রহণযোগ্য হয়ে গেছে ।

Post a Comment

Previous Post Next Post